Saturday, May 17, 2008

দলগত দূর্নীতির শীর্ষে সতলোকের(!) দল জামাত!


আবারো দেখলাম একজন জামাতকে সতলোকের দল হিসাবে প্রমানের জন্যে মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিভ্রান্তির সৃস্টি করছে। চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানের বিচার এবং গ্রেফতার হচ্ছে সরকারের ইচ্ছাধীন। যেমন - বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের আট মাস পর মামলা হলেও নিজামীর বিরুদ্ধে ১ বছর আগে অভিযোগের পরও গ্রেফতার করা হয়নি। এই বিষয়ে যাতে কোন বিভ্রান্তির সৃস্টি না হয় - মনে রাখতে হবে সরকারের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এই অভিযানকে নিয়ণ্ত্রন করছে। সেখানে হয় জামাত সরকারের সাথে গোপন আঁতাত করে সরকারের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে - নয়তো সরকারের কাছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বিষয়টা গুরুত্ব বেশী পেয়েছে। কতজন গ্রেফতার আর বিচার হলো এই বিষয়ে চার্ট তৈরী না করে - আসুন দেখি দলগতভাবে কোন দলটিতে দূর্নীতি বেশী করেছে।


চার্টটি তৈরী করা হয়েছে আমাদের সময়ের একটা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে জামাত দলগতভাবে দূর্নীতিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে।

আমাদের সময় একটা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযানে মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলগত অব্স্থানের একটা তুলনামুলক তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে সংসদ সদস্য ( যারা ক্ষমতা ব্যবহার করেছে) দলগত অবস্থান হলো:

১) জামায়াতে ইসলামী - ৫৮.৮২%
২) বিএনপি - ২৯.৮২%
৩) আওয়ামীলীগ - ১৪.২৯%

সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায় - জামাতের অর্ধেকের বেশী, বিএনপির এক তৃতীয়াংশ আর আওয়ামী লীগের ৬ জনের একজন দূর্নীতিতে জড়িত ছিল।

বিস্তারিত বিবরনে দেখা যায় -

১) জামাতে সংসদ সদস্য ছিল - ১৭ জন।
২) দূর্নীতি দমন কমিশনে এই যাবত ২ জন মন্ত্রী সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
৩) ৪ জন দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে রয়েছে : - ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, গাজী নজরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও শাহজাহান চৌধুরী।
৪) পলাতক ৪ জন ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সুবহান ও মিয়া গোলাম পরওয়ার।
৫)ডা. তাহেরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
৬) গাজী নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে চিংড়ি ঘের, ২৫ বিঘা সম্পত্তিসহ অঢেল সম্পত্তি অর্জন এবং টিআর-এর পৌনে ২ কোটি টাকা আÍসাতের অভিযোগ রয়েছে।
৭) মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়ি থেকে এবং মাওলানা আবদুস সুবহানের ব্যক্তিগত ক্লিনিক আল-আমানা থেকে ত্রাণের টিন উদ্ধার করা হয়েছে।
৮) শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
৯) মিয়া গোলাম পরওয়ারের বিরুদ্ধে আসিফ জুট মিলের আড়াই কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগে খুলনার খানজাহান আলী থানায় মামলা রয়েছে।
১০) মাওলানা আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আÍসাতের অভিযোগ রয়েছে।
১১) দলের প্রধান কান্ডারী ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় দুদক গত রোববার অভিযোগপত্র দায়ের করেছে।
১২) দলের অপর নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মুহম্মাদ মুজাহিদ চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
১৩) মাওলানা ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়েছে।


এই হলো আমাদের দেশের সতলোকের শাসক কায়েমের উদ্দেশ্যে জোট করে নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও নারী নেতৃত্ব মেনে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলাফল।

ধর্মের কথা বলে সাধারন ধর্মপ্রান জনতাকে বিভ্রান্ত করে যদি এই দলটি কোন দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় পুরোপুরি আসীন হতে পারে তবে - তাদের শাসনের প্রকৃত রূপ কি হতে পারে তার কি কোন একটা অনুমান করে পারছি।

যদি কোন সময়ে জামাতের সংসদসদস্য ১৫০+ হয় - তবে পরিসংখানের বিবেচনায় বলা যায় - ১০০+ দূর্নিতিবাজ সদস্য জামাতের থেকে আসবে। আজ কয়েকজন সদস্যের জন্যে দেশের এই অবস্থা - ভেবে দেখুন ১০০+ সতলোকের লেবাসধারী দূর্নীতিবাজ যখন সংসদে যাবে -বাংলাদেশের কি অবস্থা হবে?

বাংলাদেশ কি সতলোকের লেবাসধারীদের বিশ্বাস করবে?

Wednesday, May 14, 2008

১৬৬৫ টাকা!

বাংলাদেশে শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন ১৬৬৫ টাকা। দুইটি সন্তানই যথেষ্ট বিবেচনায় চার জনের পরিবারকে যদি ঢাকা বা চট্রগ্রামের কোন কারখানায় কাজ করে বেঁচে থাকতে হয়- তবে এই টাকায় কি সম্ভব?

১৬৬৫ টাকা হিসাবে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজে প্রতি ঘন্টায় আসে ১০.৪০ টাকা।

এই মজুরিতে কাজ করে যদি শ্রমিকরা কোন সময় রাস্তায় গাড়ী পোড়ায় বা গার্মেন্টসে আগুন দেয় - তার জন্যে দায় কি শুধু শ্রমিকের?

যখন টিভিতে দেখি প্রচন্ড গরমে কর্তারা সুটেট-বুটেট হয় দেশের উন্নতি নিয়ে বুলি কপচান - মায়া হয় এই ভন্ডদের জন্যে। যে দেশে কাজ করে মানবিক জীবন যাপন সম্ভব না - সেখানে আইন শৃংখলা আর দূর্নীতি নিয়ে বড় বড় বক্তৃতা কতটা অন্তঃসার শূন্য তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?

কেউ কি ৪ জনের পরিবারের জন্যে ১৬৬৫ টাকার একটা মাসিক বাজেট তৈরী করে দিতে পারবেন, দয়া করে?